সেলুলাইটিস হল সাধারণ বেদনাদায়ক ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ যা সাধারণত পায়ের নীচের ত্বকে প্রভাব ফেলে। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি মুখ, বাহু বা শরীরের অন্যান্য অংশেও হতে পারে। এক্ষেত্রে, ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের কারণে ত্বক লাল হয়ে যায়, ফুলে ওঠে এবং স্পর্শে বেশ বেদনাদায়ক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। সেলুলাইটিস সাধারণত ত্বকের পৃষ্ঠদেশে বিকাশ করে এবং সংক্রমণটি লিম্ফ নোড এবং রক্ত প্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে।
কারণ
সেলুলাইটিস তখনই দেখা দেয়, যখন স্টাফিলোকক্কাস এবং স্ট্রেপ্টোকোকাসের মতো নির্দিষ্ট ধরনের ব্যাকটেরিয়াগুলি কোনও কাটা, আঁচড় বা সার্জিকাল ক্ষতের মাধ্যমে ত্বকের সংস্পর্শে আসে। পশুর কামড়ও সেলুলাইটিসের কারণ হতে পারে।
সেলুলাইটিসের প্রকার
স্তন সেলুলাইটিস – এটি একটি জটিলতা যা স্তন ক্যান্সারের রেডিয়েশন থেরাপির পরে বিকাশ করতে পারে।
পেরিঅরবিটাল সেলুলাইটিস – এই ধরনের সেলুলাইটিস চোখের চারপাশে বিকাশ করে। ফেসিয়াল সেলুলাইটিস – ফেসিয়াল সেলুলাইটিস নাক, গাল এবং চোখের চারপাশে বিকাশ করে।
পেরিয়েনাল সেলুলাইটিস – এটি মলদ্বারে সংক্রমিত হয়।
সেলুলাইটিসের লক্ষণসমূহ
ক) ত্বকে ফোলা এবং লালচে ভাব
খ) নরম ভাব অনুভূত হওয়া এবং ব্যথা
গ) আক্রান্ত জায়গায় গরমভাব
ঘ) জ্বর
ঙ) বমি বমি ভাব
চ) ঠান্ডা ঘাম
ছ) অবসাদ
জ) মাথা ঘোরা
ঝ) পেশী ব্যথা
ঞ) পুঁজযুক্ত ত্বকের ঘা
রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, চিকিৎসকরা সংক্রমিত ত্বকটি পরীক্ষা করে সেলুলাইটিস নির্ণয় করে এবং রোগীর ত্বকে সাম্প্রতিক কোনও আঘাত আছে কি না, তার মেডিকেল অবস্থা রয়েছে এবং রোগী কী কী ওষুধ সেবন করছেন তা জিজ্ঞাসা করে।
এর চিকিৎসা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। অ্যান্টিবায়োটিকগুলি সেলুলাইটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৫ – ১৪ দিনের জন্য নির্ধারিত হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কয়েকদিন পরেই, উপসর্গগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়। যদি সংক্রমণটি গুরুতর হয় তবে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ইন্ট্রাভেনাসের মাধ্যমে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া, চিকিৎসক বিশ্রামের পরামর্শও দিতে পারেন।
সেলুলাইটিস প্রতিরোধ
ক) সংক্রমণ রোধ করতে পোকামাকড়ের কামড়, আঁচড় থেকে এড়িয়ে চলুন।
খ) ত্বকে ফাটল রোধ করতে ত্বক ময়শ্চারাইজড রাখুন।
গ) স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
ঘ) ধূমপান এড়িয়ে চলুন এবং অ্যালকোহল গ্রহণ সীমাবদ্ধ করুন।
এ বিষয়ে পরামশের্র জন্য যোগাযোগ করুন : আলমগীর আলম, 29 বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, তৃতীয় তলা, ঢাকা, কল – 01611010011
আলমগীর আলম
ন্যাচারোপ্যাথি ও আকুপ্রেসার বিশেষজ্ঞ
আমি আলমগীর আলম, আকুপ্রেসার ও ন্যাচারোপ্যাথি নিয়ে কাজ করি, আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় এটা প্রমাণিত যে, আমরা বর্তমান সময়ে যে খাদ্যভাস, জীবনাচার নিয়ে আছি তাতে সুস্থ থাকা অসম্ভব। আমাদের প্রচলিত চিকিৎসা ব্য...
View author profileRelated Posts
কিডনি ভালো রাখতে আকুপ্রেশার
Aug 12, 2025
লাল মুলার নানা উপকারিতা
Aug 12, 2025
নারীর হঠাৎ গরম লাগার সমস্যা
Aug 12, 2025